নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির খেলা জমছে। দলীয় সুত্রের খবর এ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি মধ্যে দুটি গ্রুপ হয়েছে। এক গ্রুপ নির্বাচন করার পক্ষে ,আরেক গ্রুপ নির্বাচনের বিপক্ষে। বিপক্ষের গ্রুপে রয়েছে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবীর রিজভী। তার কাজ কিভাবে এড.তৈমূর আলম খন্দকারকে দমানো যায়। অপর গ্রুপে রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তৈমূর আলম খন্দকারকে উৎসাহ দিচ্ছেন। দল তার পক্ষে আছে বলেও তিনি জানান। তারপরও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়ায় এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ তৈমূর শিবির। তৈমূর বলছে সরকারী দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তার বিরুদ্ধে কিছু নেতা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন তারা হলেন ৫ নং ওয়ার্ডে সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মো: সাদরিল , ২৩ নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালাম এর ছেলে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশা, ১২ নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, তিনি শেখ মুজিব হত্যা মামলার আসামি কিসমত হাশেম এর ছোট ভাই। ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তার দিনা, ১১নং ওয়ার্ডে রয়েছে বিএনপি’র এই ওয়ার্ডেরই সভাপতি জমসের আলী ঝন্টু, ১৩নং ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২১ নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ডে মো. সুলতান মাহমুদ, ২ নং ওয়ার্ডে ইকবাল, এছাড়া মহানগর যুবদল নেতা সাগর প্রধান, মহসিন উল্লাহ, দিদার খন্দকার কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে প্রার্থী হয়ে তাদের পদ থাকছে কিভাবে?
একই দলে দুই নীতি দেখে বিএনপির অনেক সমর্থক ক্ষোভ প্রকাশন করেছেন। একাধিক দলীয় নেতা জানান , তৈমূর মেয়র প্রার্থী হলে দোষ হয়। দলীয় পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর গিয়াস-কালামের ছেলেসহ অন্য নেতারা প্রার্থী হলে দোষ নেই! দলের কাছে জানতে ইচ্ছা করে তারা কিভাবে এখনো স্বপদে বহাল থাকে ? তারাও তো দলের কাছে তৈমূরের মতো অপরাধী। দল কি তাদেরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারেনা।
বিএনপির আরেক নেতা সংবাদচর্চাকে বলেন, নির্বাচন এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির মধ্যে দুই নীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু তৈমূর না দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করছে তাদের প্রত্যেককে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া দরকার।